জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ দখলের অভিযোগ
জয়পুরহাট প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটে একজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের বাখড়া গ্রামে।
অভিযুক্ত ওই বিএনপি নেতার নাম গাজিউল ইসলাম। তিনি জেলার কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং একই ইউনিয়নের বাখড়া মন্ডলপাড়া গ্রামের উজির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
আর ভুক্তভোগী অভিযোগকারীর নাম আক্কাছ আলী। তিনি একই গ্রামের মৃত বাদেশ আলী সরদারের ছেলে।
সরেজমিন ওই গনকূ সেচ স্কিমের কৃষক আবু সাঈদ, আব্দুর রহমান, হাফিজার রহমানসহ ১০ জনের সাথে সাথে কথা বলে এবং লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা যেদিন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান; সেদিন রাতেই বিএনপির দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গনকূটি দখলে নেন গাজিউল ইসলাম। এ অবস্থায় ওই স্কীমের ফসল হানির শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
আক্কাছ আলীর অভিযোগ,তাঁর পিতা ১৯৯৮ সলে বিএডিসির কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে গনকূটি মালিকানা লাভ করেন। সেই থেকেই গনকূটি তাঁদেরই দখলে। গনকূটির বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার বর্তমানে আক্কাছ আলীর নামেই। ৪-৫ মাস আগে গাজিউল ইসলাম গনকূটি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে সেচ পরিচালনা করছেন, কিন্তু বিদ্যুৎ বিল শোধ করছেননা। এতে করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ ফসল হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
তবে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাজিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি ওই গনকূর ১০ জন শেয়ারের মধ্যে একজনের কাছ থেকে একটি অংশ ক্রয় করে মালিকানা লাভ করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে বাকী ৯ জন অংশীদার ও আওয়ামী লীগ কর্মী দলীয় প্রভাব খাটায়। তাঁরা আমাকে আমার ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত করে রাখে। এখন আইনগত ভাবে আমি গনকূটি দখলে নিয়ে সেচ কাজ পরিচালনা করছি।’
এ প্রসঙ্গে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, গভীর নলকূপ দখলের বিষয়ে একটি লিখত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’