গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে আসন্ন শৈত্যপ্রবাহ: তীব্র শীতের পূর্বাভাস
গাইবান্ধা সংবাদদাতা :
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আসন্ন শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব বেশি পড়ছে। শৈত্যপ্রবাহটি মূলত রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে সিলেট বিভাগেও শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ হিমালয় অঞ্চল থেকে ঠান্ডা বাতাস নিয়ে আসছে। এই হিমেল বাতাস ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। বুধবার সকাল থেকেই কুয়াশাযুক্ত ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বৃহস্পতিবার থেকে আরও তীব্র হতে পারে।
জানুয়ারি মাসে এক থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং এক-দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শৈত্যপ্রবাহটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সাদুল্লাপুরসহ আশেপাশের এলাকায় শীতের দাপট অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাদুল্লাপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও শীতের প্রকোপ বাড়ছে। শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে সাদুল্লাপুর উপজেলায় তাপমাত্রা ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
সারাদেশে বুধবার থেকে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব আরও তীব্র হতে পারে। সাদুল্লাপুরবাসীকে এই সময়ে শীতজনিত রোগবালাই থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়দের প্রতি পরামর্শ
১। অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে যথাসম্ভব গরম কাপড় ব্যবহার করুন।
২। শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিন।
৩। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় চলাচলে সতর্ক থাকুন।
৪। শীতকালীন সবজির চাষ ও অন্যান্য কৃষি কাজেও বিশেষ নজর দিন।
সাদুল্লাপুরের বাসিন্দারা যেন এই শৈত্যপ্রবাহে সচেতন থাকেন, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।