মানদা কান্ত লাহিড়ী হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ময়নাতদন্তের দাবীতে সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সন্মেলন
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আলোচিত মানদা কান্ত লাহিড়ী হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাবীতে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের পরিবারের আয়োজনে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব সেমিনার কক্ষে এই সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত মানদা কান্ত লাহিড়ীর ভাতিজা তুষার লাহিড়ী।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তুষার লাহিড়ী বলেন, গত বছর ১৬ ই জানুয়ারি ২০২৪ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের গুদিবাড়ি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার চাচা মানদা লাহিড়ীকে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে প্রতিবেশী মশিউর রহমান, আবির রহমান ও নিবিড় রহমান অতর্কিত ভাবে দেশী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার চাচা মানদা কান্ত লাহিড়ী মারাত্মক ভাবে আহত হলে আমরা ঘটনাস্থলে থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করি। দীর্ঘ এগারো মাস চিকিৎসা পর আমার চাচা সিরাজগঞ্জ সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।
তুষার লাহিড়ী আরও বলেন, বর্তমানের আসামী পক্ষ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেছেন টাকা ময়সা দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘুরিয়ে দেবে। আমরা এখন ময়না তদন্তের সুষ্ঠু প্রতিবেদন নিয়ে সংকিত আছি। আমার চাচার হত্যাকান্ডে ময়নাতদন্তের সুষ্ঠু প্রতিবেদনের জন্য সকলের সহযোগিতার কামনা করছি। যেন সুষ্ঠ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমার চাচার হত্যা কান্ডের বিচার যেন নিশ্চিত হয়।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। ময়নাতদন্তে যা পাওয়া যাবে তাই লিখে দিব। এখানে সঠিক রিপোর্ট না দেওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, ১১ মাস আগে বাড়ির ওপরে আড্ডা দিতে ও অসংলগ্ন কথা বলতে নিষেধ করা এবং বড় চুল কাটতে বলেন মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) নামে এক বৃদ্ধ। এরপর এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বৃদ্ধকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ ওঠে মশিউর রহমান ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে দীর্ঘ ১১ মাস হলো অজ্ঞান অবস্থাতেই ছিলেন বৃদ্ধ মানুদাকান্ত। অবশেষে গত১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে মারধরের ঘটনায় মানুদাকান্ত লাহিড়ীর স্ত্রী সান্ত্বনা লাহিড়ী বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এখন মানুদা কান্তর মৃত্যুর বিষয়টি অবগত করে এই মামলার সঙ্গে ৩০২ (হত্যাকাণ্ড) যোগ করার জন্য আদালতে আবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ।