শিরোনাম
যথা সময়ে ছলাত বা নামায আদায় করো   » «    সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন বিহীন খাদ্য উৎপাদন   » «    কুষ্টিয়ায় নগদ টাকা ও ইয়াবাসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী-‌ছে‌লে আটক   » «    আলেম, শিক্ষিত সমাজ ও দায়িত্বশীল বক্তব্য   » «    শরীয়তপুর জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান, ২০টি প্রকল্পের অনিয়মের তদন্ত শুরু   » «   

সোনাগাজীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মার্ক টেম্পারিং এর অভিযোগ

 

পবিপ্রবি প্রতিনিধি:

 

সোনাগাজী উপজেলার সরকারি সাবের পাইলট হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ধর্ম বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা ভালো নম্বর পেলেও শিক্ষক জসিম এর অবহেলার কারণে ফলাফলে তাদেরকে ফেল দেখানো হয়েছে। ফলাফল পূনমুল্যায়নের পর দেখা যায়, ১০ জন শিক্ষার্থী যারা ৭০ থেকে ৮৫ নম্বর পেয়েও অকৃতকার্য হিসেবে তাদের ফল প্রকাশিত হয়।ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর তারা খাতা দেখতে চাইলে তাদের জানানো হয় যে, তাদের পরীক্ষার খাতা পাওয়া যায়নি।

 

এ বিষয়ে এক অভিভাবক অভিযোগ করে ধর্ম পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে, শিক্ষক জসিম, সুলতান এবং কামনুর নাহারের তার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তারা দাবি করেন, ফলাফল চূড়ান্ত এবং কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।

 

পরবর্তীতে চাপের মুখে শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা খুঁজে বের করলে সকল শিক্ষার্থীর খাতা একত্রে পাওয়া যায়।এবং পুনরায় খাতা মুল্যায়নের পর বেশ কিছু শিক্ষার্থী ৭০-৮৫ নম্বর পেয়ে পাশ করেন।

 

দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে দুইটি আলাদা রেজাল্ট প্রকাশের পর, অনেক ছাত্রের ফলাফল পরিবর্তিত হয়, যা স্থানীয়দের মধ্যে বিস্ময় ও বিতর্কের সৃষ্টি করে। শিক্ষকদের এই আচরণে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত এবং স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন।

 

এ ছাড়াও ধর্মশিক্ষক জসিমের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পাশ করানো এবং প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষার্থীদের অধিক গুরুত্ব দিয়ে ভালো মার্ক দেন বলে অভিযোগ করেছেন কিছু শিক্ষার্থী।

 

এই বিষয়ে নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর অভিবাবক বলেন, আমরা শিক্ষকদের উপর ভরসা করে আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাই। কিন্তু শিক্ষকরা যদি তাদের প্রতি যথেষ্ট সদয় না হয় তবে এটা দুঃখজনক। শিক্ষকদের উচিত সচ্ছতার সাথে পাঠ্যক্রম পরিচালনা এবং সঠিক তত্বাবধায়ন নিশ্চিত করা।

 

এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম তার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তবে তিনি অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেন।

 

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জসিম বলেন, মার্ক টেম্পারিং এর বিষয়টি সত্য নয়। তবে তিনি ভুল করে মার্ক যোগ করেন নাই। আমরা ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল যাতে না হয় সেবিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবো।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * সোনাগাজীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মার্ক টেম্পারিং এর অভিযোগ
সাম্প্রতিক সংবাদ