মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
মুসলমানদের সাথে যে ধর্মীয় বৈষম্য করেছে তা চিন্তাও করতে পারবেননা। মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। মুসলমানদের ধংসের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষায় যাতে ইসলাম না থাকে, ইতিহাস না থাকে সব কিছু উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজকে ইসলামকে ধংস করার জন্য শিক্ষা কমিশনে আবু সাইদের মতো যে আহালে কোরআনী দাবী করে, যে একটা শয়তান, যে আমার নবীকে নিয়ে কটুক্তি করে, তাকে শিক্ষা কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) সোমবার বিকাল ৫ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাপাসিয়া উপজেলা শাখার
উদ্যোগে বাসস্ট্যান্ডের তাজউদ্দিন চত্বরে গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই) প্রধান অতিথীর বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন চার শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ড্রাইভার শত শত কোটিি টাকার মালিক।একটা অফিসের পিয়ন ঢাকায় ১০ টা ২০ বাসার মালিক। ফরিদপুরে ছাত্র লীগের এক সভাপতি দুই হাজার কোটির টাকার মালিক শুধু তাই নয়,সে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। আজকে একজন শ্রমিকের চাকরিতে বেতন বাড়ানোর দাবীতে আন্দোলন করে রাস্তায় মারা যায়। আজকে আামাদের মহিলা শ্রমিকেরা কাজ করতে পারছেনা, ইজ্জত হরণ হচ্ছে। ইজ্জত ধংস করা হয়েছে। তাদের কাজের জন্য আলাদা কর্মস্থল ব্যবস্থা করা হয়নি।এগুলো সবই বৈষম্য।
তিনি বলেন, আজকে গরীবদেরকে অধিকার রক্ষা করা হয়নি। ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হলে, পাঁচ/দশ বছরে দরিদ্র সীমার উপরে উঠে যাবে।যাকাত কাদের জন্য, ফেতরা কাদের জন্য, মানত কাদের জন্য, দান কাদের জন্য- ইসলামী গোটা অথনীতির জন্য।ইসলাম অর্থনীতি প্রনয়ন করেছে। গরীবদের দরিদ্র সীমার উপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অথচ আফসোস কপাল পোড়া এই গরীবেরা ইসলাম পছন্দ করেনা।গরীবরা কি জানেন ইসলাম কি জিনিস? ইসলাম ক্ষমতায় আসলে টাকা চুরি করা হবেনা।ধনীরা তোমাদের প্রাপ্তি নিতে পারবেনা।ইসলাম সাধারণ মানুষের জন্য। ইসলাম তোমাদের কল্যাণের জন্য।
তিনি আরও বলেন, ৫৩ বছর যারা শাসক ছিলেন তারা জনগণের জন্য আইন করতে পারেনি।আইন করেছে নিজেদের কল্যানের জন্য।নিজেদের সেইফটি করার জন্য।নিজেদের দলকে সংরক্ষণ করার জন্য।জাতীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আইন প্রনয়ণ করা হয়নি।যত বাহিনী তারা জনগনকে সেইফটি দেয়না।আজকে , ডিজিএফআই, এন এস আই, ডিবি, বিজিবি, পুলিশ বাহিনী সরকারকে সেফটি দেওয়ার জন্য। অথচ সরকার দিয়ে কি করবো আমার জনগণের জন্য আইন পাশ করা হচ্ছে না। জনগন সুখে না থাকলে সরকার দিয়ে লাভ কি? ভারতের সাথে যে চুক্তি গুলো করেছে এসব চুক্তি না, গোলামির চুক্তি। আজকে ভারত আামাদের উপর এমন ভাবে আগ্রাসী হামলা শুরু করেছে, সমস্ত কিছু পরিবর্তন হবে, ক্ষমতায় রাখবে ভারত। আমরা ভারতের সাথে সম্পর্ক চাই, হস্তক্ষেপ চাইনা, কর্তৃত্ব চাইনা। এদেশের নেতৃত্ব দিবে জনগন।
অনুঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাপাসিয়া উপজেলার সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সরদার। সঞ্চালনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাপাসিয়া উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম।