দুর্গাপুরে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং,অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
অসহনীয় গরম ও লোডশেডিংয়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপদাহে মানুষ যেখানে হাঁপিয়ে উঠেছে তার মধ্যে বিদ্যুতের এতো বেশি লোডশেডিং অতিষ্ঠ অভিযোগ ভুক্তভোগী জনসাধারণের।
দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বলছে,গতকাল রাত থেকে জামালপুর ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। অন্যদিনের তুলনায় আজ লোডশেডিং এর পরিমাণ বেশি হবে। ইতিমধ্যে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং হচ্ছে।
এদিকে প্রতিদিন পৌর শহরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিললেও গ্রামে দিন-রাত মিলে ৬-৭ ঘণ্টারও কম সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত থেকে পৌর শহরেও লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩-৪ বার লোডশেডিং এর কবলে পড়ে পৌর শহরের বাসিন্দাদের অপরদিকে গ্রাম আঞ্চলে ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ মিলছে সর্বোচ্চ ৪-৫ ঘন্টা। ফলে অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন।
পৌর শহরের বাসিন্দা পলাশ সাহা বলেন,এই গরমে ভয়াবহ লোডশেডিং এ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। রাতের বেলায় বেশি কষ্ট হয়। শিরবির গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন,দিনে-রাতে একটু পরপর বিদ্যুৎ যাচ্ছে। যাওয়ার নিশ্চয়তা থাকলেও বিদ্যুৎ আসার নিশ্চয়তা নেই। গত রাতে একদমই বিদ্যুৎ ছিল না গরমে বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজিতে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,এ উপজেলায় ৬৩ হাজার গ্রাহক রয়েছে এবং প্রতিদিন গড়ে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে। সেখানে দিনে ৪ মেগাওয়াট ও সন্ধ্যায় ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। তাই তিনভাগের এক ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,জামালপুর ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ লোডশেডিং বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় কম পাওয়ায় ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।