স্বৈরাচার সরকারের ‘দালাল’ হিসেবে আখ্যায়িত চঞ্চল চৌধুরী
শোবিজে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের যে কজন দালাল শিল্পী হিসেবে পরিচিত, তার মধ্যে চঞ্চল চৌধুরী অন্যতম। তিনি এতটাই শেখ হাসিনার তোষামদ করেছেন যে, যা ছিল দৃষ্টিকটু। ২০১৪ সালে যখন সরকার বালুর ট্রাক দিয়ে খালেদা জিয়ার বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল তখন চঞ্চল চৌধুরি, জাহিদ হাসান, ঝুনা চৌধুরী, হাসান ইমাম, গাজি রাকায়েত, তারানা হালিম পীযুশ বন্ধ্যাপাধ্যায়ের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার বাড়িতে আগুনে দগ্ধ মানুষে তালিকা টানিয়ে দেন। এছাড়াও এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সামনে গান গেয়ে তাকে পা ছুঁয়ে সালাম করার ভিডিও এখন ভাইরাল।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। এখন সরব হয়েছেন বন্যার্তদের সহযোগিতার কথা বলে। এতে তোপের মুখে পড়েছেন চঞ্চল। ২২ আগস্ট বৃহ¯পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আসুন, আমরা সবাই বানভাসি মানুষের পাশে দাড়াই। এরপর কিছু আশ্রয়কেন্দ্রের ঠিকানা ও ফোন নম্বর উল্লেখ করে লিখেছেন, সবাই সাবধান থাকুন, আবহাওয়া খুবই খারাপ। জলাবদ্ধতা বেশি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত হোন। বাড়িতে অবস্থান করতে পারলে প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার, পানি, স্যালাইন ও মোম মজুত রাখুন। পারলে পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে ও প্রতিবেশীদের শুকনা খাবার দিয়ে সাহায্য করুন। তবে নেটিজেনরা বানভাসিদের নিয়ে অন্য তারকাদের উদ্যোগ প্রশংসায় ভাসালেও চঞ্চলের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। বরং নানা মন্তব্য করে তাকে নাস্তানাবুদ করেছে।
একজন লিখেছেন, মীরজাফরদের খাতায় নাম থাকবে সারাজীবন। আরেকজন লিখেছেন, এই তো সুযোগ মানুষের সহানুভূতি অর্জনের। কাজে লাগা ভাই, কাজে লাগা। অন্য একজনের লিখেছেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় কি পাশে দাঁড়ানোর জন্য পোস্ট দিতে ভুলে গিয়েছিলেন? অনেকে তাকে ‘দালাল’ ও ‘সুবিধাবাদী’ বলেও সম্বোধন করেছেন চঞ্চলকে। কেউ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলার প্রয়োজন নেই বলেও সাবধান করেছেন অভিনেতাকে।