ট্রেজারারের নেতৃত্বে হল উদ্ধারে নামছে জবি শিক্ষার্থীরা
জবি প্রতিনিধি:
দীর্ঘদিন ধরে বেদখলে থাকা জবির ১১ টি হল উদ্ধারে আগামীকাল মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.হুমায়ুন কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে আগামীকাল সকাল ১০টায় হলগুলো দখলমুক্ত করার আন্দোলন শুরু হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুর নবী এ আন্দোলনের ডাক দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি।
প্রায় তিন দশক ধরে আওয়ামী প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে জবির হলগুলো।জবির শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা বহুবার আন্দোলন করেও হলগুলো উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত এই হল গুলো সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসায় ও রাজনৈতিক কাজে দখলে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হল দখল করে রেখেছে পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর ড. হাবিবুর রহমান হল উদ্ধার হলেও তা আবাসন উপযোগী হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পরেও আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত জবি শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো উদ্ধার করতে যা যা প্রয়োজন সবই তিনি করবেন। তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে শিক্ষার্থীরা হল উদ্ধারে আন্দোলন করেছিল, তবে তখনকার প্রভাবশালীদের কারণে তা সফল হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে হল আন্দোলন হলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়কে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব হলে অবস্থান করেছিল, এখন হলগুলো কারা এবং কিসের ভিত্তিতে দখল করেছে তা যাচাই করা প্রয়োজন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেখলকৃত হলগুলো হলো:তিব্বত হল,ড.হাবিবুর রহমান হল,বাণী ভবন হল,আব্দুর রহমান হল,শহীদ আনোয়ার শফিক হল,সাইদুর রহমান হল,রউফ মজুমদার হল,শহীদ আজমল হোসেন হল,বজলুর রহমান হল,নজরুল ইসলাম খাঁন হল,শহীদ শাহাবুদ্দিন হল।