আগৈলঝাড়ায় ব্রীজ ধসের ১৫দিন চলাচল বন্ধ,চরম দূরভোগে এলাকাবাসি
জেলা প্রতিনিধি বরিশালঃ
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাটরা-রামানন্দেরআকঁ সড়কের বাটরা গ্রামে রমজুমদার বাড়ি সংযোগ স্থলে খালের উপরের ব্রীজটি ১৫দিন পূর্বে ধসে পরলে যানবাহন ও ওই এলাকার শতশত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ থাকায় তাদের চরম দূরভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজ ধসে ১৫দিন পারহলেও উপজেলা এলজিইডি বিভাগ থেকে কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ব্রীজটি দেখতে যায়নি। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন ব্রীজটির বিষয়টি শুনেছি সময় পেলে দেখে আসবো। ব্রীজটি কতো টাকা ব্যয়ে কতোসনে নির্মানকরা হয়েছে তার কোন তথ্য দিতে পারে নাই তিনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাটরা-রামানন্দেরআকঁ সড়কের বাটরা গ্রামে রমজুমদার বাড়ি সংযোগ স্থলে খালের উপর লোহার ষ্টাকচারের উপর এলজিইডি অর্থায়নে প্রায় ২০ বছর পূর্বে একটি ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণ কালীন সময় নিম্মমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় কয়েক বছরের মধ্যেই ব্রীজটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। গত দুইবছররে ব্রীজের মাঝের একটিঅংশ ডেবে গেলে লোকজনের যাতায়াতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে। স্থানীয়রা বিষয়টি একাধিক বার উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ওই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি গত ২১ জুন ( শুক্রবার) বিকেলে উত্তর পাড়ের একটি অংশ ধসেপরে। অল্পের জন্য জীবনহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই ব্রীজদিয়ে চলাচল কারীরা বর্তমানে শতশত লোকজনের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ওই ব্রীজদিয়ে চলাচল কারী কিশোর বাড়ৈ, বাবুল হালদার, তাপস বলেন, ব্রীজটির একটি অংশ একটু ডেবেযাওয়ার পর আমরা উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে জানানিয়ে ছিলাম। তারা কোনব্যবস্থা নেয়নি। ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে ২১জুন বিকেলে ওই ব্রীজটি একটি অংশ ধসেপরে চলাচল বন্ধহয়ে পরে। সেই থেকে আগৈলঝাড়ার ইঞ্জিনিয়ার দেখতেও আসে নাই। স্থানীয় রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মো. ইলিয়াছ তালুকদার বলেন, আমি বিষয়টি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তীকে জানিয়েছি। আমি জানতেপেয়ে স্থলেগিয়ে বাঁশদিয়ে সাকো তৈরি করে দিয়েছি যাতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এলাকার মানুষ পায়েহেটে খাল পারা পার হতে পরে।
এব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, আমি বাটরা মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজ ধসে কথা শুনেছি কিন্তু যেতে সময় পাইনি। এখন সময় করে দেখে আসবো। আর কি করা যায় আমি সেটা আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। তারা যে সিধান্ত দিবে আমি সেটাই করবো। অফিসে ফাইল নেই। আমি বলতে পাবোনা ব্রীজটি কতো টাকা ব্যয়ে কতোসনে নির্মানকরা হয়েছে ।