লক্ষ্মীপুরে রাসেল ভাইপার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক সভা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
সারাদেশ ব্যাপি বহুল আলোচিত রাসেল ভাইপার (চন্দ্রঘোড়া) সাপের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক সভা সভা ০১ জুলাই (সোমবার) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এর পরিচালক মো: ছানা উল্যা পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবি সিদ্দিক, সিভিল সার্জন ডা: আহাম্মেদ কবির।
সভায় বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আরিফুর রহমান,লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসে ষ্ট্রেশন অফিসার রনজিত কুমার,জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ প্রমুখ।
সভায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এর পরিচালক মো: ছানা উল্যা পাটওয়ারী জানান, পৃথিবীতে ৪০৭৩ প্রজাতির সাপ আছে। এর মধ্যে ২০% সাপ বিষধর বাকী ৮০% সাপ বিষধর নয়। বিশ্বে বছরে ৬-৭ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় আক্রান্ত হয় ৪-৬ লাখ মানুষ। তবে অনেকে না জেনে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ মেরে ফেলছে। তাই কোন সাপ বিষধর তা জানা এবং কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতাল অথবা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিলে রোগী দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেরী হলে অনেক সাপে আক্রান্ত রোগীর মারা যেতে পারে।
বাংলাদেশে ১১৯ প্রজাতির সাপ রয়েছে এর মধ্যে সামুদ্রিক ১৬ প্রজাতির সাপ বিষধর। মূলত যে সকল সাপ কামড় দিয়ে ছেড়ে দেয় সেই গুলো বিষধর আর যারা খাবার খাওয়ার সময় প্যাচ দিয়ে থাকে তারা বিষধর না। দেশে গোখরা, কেউটে, চন্দ্রঘোড়া (রাসেল ভাইপার), সবুজ ঘোড়া, সামুদিওক সাপ বিষধর। দেশের রাজশাহীসহ অনেক জেলায় রাসেল ভাইপার সাপ আছে। ২০১৫ সালে গবেষণা অনুযায়ী লাল তালিকা রাসেল ভাইপার প্রাণীর তালিকায় সংকটাপন্ন।
অল্প সময়ে বেশী বিষ দেয় রাসেল ভাইপার। এই সাপ ডিম দেয়না তবে বাচ্ছা দেয়। বাচ্চা বড় হতে ৬-৭ মাস সময় লাগে। প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে বাচ্চা দেয়। রাসেল ভাইপার ৪০ মিলি গ্রাম বিষ দিলে সেই মানুষ মারা যাবে। তবে তাদের শরীরে সর্বোচ্ছ ২০০-২৫০ মিলি পর্যন্ত বিষ থাকে।
এসময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।