আ.লীগ নেতা বাবু হত্যায় ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

পাবনা :

পাবনায় আওয়ামীলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম বাবু ওরফে ডাক  বাবু (৪৫) কে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মুতাই জামিন পেয়েছেন।

বুধবার (১২ জুন) উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে নিজ এলাকায় আসলে নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মুতাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি সদস্যরা পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। তারা আবারও এলাকায় হত্যাকান্ডে মেতে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গয়েশপুর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবু ওরফে ঢাক বাবু কে গত ৮ জুন রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমার বাড়ি এক ইউনিয়নে। বাবুকে হত্যা করা হলো আরেকটি ইউনিয়নের এলাকায়। অথচ সেই হত্যা মামলায় আমাকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাবু হত্যার প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করুন। আমিও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলত শাস্তি চাই।

এ সময় পাবনা জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর ফিরোজ, গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: নাসিম, আওয়ামী লীগ নেতা ইমদাদুল হক, জেলা যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলাম, গয়েশপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শেখ মনসুর সহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুন রাত নয়টার দিকে সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের নলদাহ নতুনপাড়া এলাকার জামাল শেখের দোকানে চা পান করছিলেন বাবু। এ সময় পাশের পাট ক্ষেত থেকে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, এ ঘটনায় ১০ জুন রাতে নিহতের ভাতিজা পিয়াস আলী শেখ বাদি হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মুতাইকে।

মামলার পর ১০ জুন রাতেই সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের শাহীন হোসেন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এখনও শুনানী হয়নি।

এদিকে গতকাল বুধবার (১২ জুন) উচ্চ আদালত থেকে মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন জামিন নিয়েছেন বলে জানান ওসি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * আ.লীগ * ইউপি চেয়ারম্যান
সর্বশেষ সংবাদ