কাপাসিয়ায় পুলিশকে মারধর, আসামী ছিনিয়ে নেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
কাপাসিয়া প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর করে ভ্রাম্যমান আদালতের দন্ডিত আসামী ইজারাদার আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ জলিল ও তার এক সহযোগীকে গেফতার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভোররাতে টোক ইউনিয়নের বীর উজলী নিজ বাড়ী থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেফতারকৃত এম এ জলিল (৬৮) উপজেলার টোক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি উজলী গ্রামের মোহর আলী বেপারীর ছেলে। তার সহযোগী ফাইজ উদ্দিন (৫৫) একই গ্রামের আব্দুছ ছোবহানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে উজলী দিঘির বাজারের ইজারাদার চেয়ারম্যনের ভাতিজা একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আমান উল্লাহ পলাতক রয়েছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ মিয়া জানান, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর এবং ভ্রাম্যমান আদালতের দন্ডিত আসামীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অভিযোগে টোক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ জলিলসহ ২৩ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়, মামলা (নং ১৯)। ওই মামলায় তাকেসহ তার এক সহযোগীকে ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয়। টোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লুৎফুল রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুর রহমান জানান, বুধবার (১২ জুন) বিকালে উজলী দিঘিরপাড় বাজারে ইজারা না নিয়ে গরুর হাট বসায়, খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইজারাদারকে ওই হাট সরিয়ে নিতে বলেন। বাজার সরিয়ে না নেওয়ায় ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আমান উল্লাহকে দন্ড দেয়। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় টোক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ জলিলসহ তার লোকজন ইউএনও কে অবরুদ্ধ করে পুলিশকে মারধর করে বাজারের ইজারাদার আসামী আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর থেকে উজলী দিঘির বাজারের ইজারাদার চেয়ারম্যনের ভাতিজা আব্দুল জব্বারের ছেলে আমান উল্লাহ পলাতক রয়েছে। তার মুঠোফোনে (০১৯১৫-০২ ০৯ ৩৬) একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ইজারা না নিয়ে অবৈধভাবে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপরে বাজার বসানোর দায়ে উজলী দিঘিরপাড় ইজারাদার আমান উল্লাহকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে নেয় এতে এএসআই লুৎফর আহত হন। ওই ঘটনায় এম এ জলিল চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী কে গ্রেফতার করে পুলিশ।