আর্সেনিকমুক্ত নলক‚প খননের সময় গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহারের অভিযোগ
বেনাপোল প্রতিনিধি :
যশোরের শার্শা উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা করে আর্সেনিকমুক্ত নলক‚প খননের সময় বোরিং ফ্লুইড হিসাবে গরুর গোবর মিশ্রিত পানির ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। মোটা অংকের কমিশন পাওয়ার আশায় জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তারা সরকারি নির্দেশ পালন না করে ঠিকাদারের কাজে সহযোগিতা করে চলেছেন।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষনায় দেখা গেছে, নলক‚প খননের সময় গোবর পানি ব্যবহারের কারনে ভূগর্ভের পানির স্তর দূষনের সম্ভাব্য দীর্ঘ স্থায়ী উৎস হতে পারে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আসের্নিক মুক্ত নলক‚প খননের সময় বোরিং ফ্লুইড হিসাবে গরুর গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা হচ্ছে এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধান প্রকৌশলী জনাব সরোয়ার হোসেন এক অফিস আদেশ প্রদান করে বলেন নলক‚প খননে গরুর গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার সম্পূর্ণ রুপে পরিহার করার নির্দেশ দেন। তিনি প্রতিটি জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের একই আদেশ প্রদান করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ জারি করেন। অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ম্যাকানিকরা নলক‚প খননের সময় প্রতিটি নলক‚পে বেন্টোনাইট-ক্লে মিশ্রিত পানির ব্যবহার না করে গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করছে। যা জনস্বাস্থ্য এখন হুমকির মুখে।
যশোরের শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নুর ইসলাম জানান, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৮৬টি আর্সেনিকমুক্ত নলক‚প বসানোর কাজ প্রায় শেষের পথে। মেসার্স ফিরোজ এন্টারপ্রাইজ, দিয়া এন্টারপ্রাইজ ও খাকি কনষ্ট্রাকশন নামের তিনটি ঠিকানারী প্রতিষ্ঠান নলকূপ স্থাপনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বেন্টোনাইট-ক্লে¬র পরির্বতে গরুর গোবর ব্যবহার করছে। তবে আগামীতে যাতে গোবর ব্যবহার না করে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সূবর্ণখালী গ্রামের সামছুর রহমান বলেন, আমি একটি নলকূপ জনস্বাস্থ্য অফিস থেকে গ্রহন করি। ঠিকাদার নলকূপ বসানর সময় গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করে এবং আমাকে ঠিকাদারের লোকজন বলে যে এখুনি গোবর প্রয়োজন। আমি নিজেই গোবর এনে দেওয়ার পর তারা নলকূপ বসানোর কাজ সম্পন্ন করে। আমি নিজেই খোঁজ নিয়ে জেনেছি উপজেলার প্রত্যেকটি নলকূপ বসানোর সময় তারা গোবর মিশ্রিত পানি দিয়েই নলকূপ বসানোর কাজ শেষ করেছে। তাছাড়া আমরা তো বেন্টোনাইট-ক্লে¬ চিনিই না।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদ পারভেজ বলেন, আর্সেনিক মুক্ত নলক‚প বসানোর সময় গোবর ব্যবহার করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে যদি কেউ অভিযোগ দেয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।