ব্রাহ্মণপাড়া চান্দলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকা আত্নসাৎের অভিযোগে উক্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৯ জন ইউপি মেম্বার গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার ( ইউএনও) বরাবর একটি লিখিতভাবে অনাস্থা প্রদান করেন।
মেম্বাররা থানায় একটি লিখিত জিডিও করেন।এ ব্যপারে সকল মেম্বাররা উল্লেখ করেন ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারদের সহিত অধ্যবধি কোন প্রকার পরিষদের উন্নয়নের কোন মিটিং না করিয়া তাহার মন গড়া মতো টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি, কর্মসূচি, ১% হোল্ডিং ট্যাক্স, নাগরিক সনদ, মৃত্যুসনদ, ওয়ারিশ সনদ, অভিভাবক সনদ এর অতিরিক্ত সরকারি নিয়ম থেকে ৩/৪ গুন বেশি গ্রহন করেন। উক্ত টাকা সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করিয়া প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করিয়াছে। উক্ত বিষয়ে আমরা পরিষদের বিভিন্ন খাত থেকে হিসাব চাইলে উক্ত চেয়ারম্যান মিটিং না করিয়া হিসাব না দিয়া বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি আমাদের প্রদর্শন করিয়া আসিতেছে। এ কারনে আমরা ব্রাহ্মণপাড়া থানার চেয়ারম্যান ফারুক এর বিরুদ্ধে থানার একটি জিডি করি। উল্লেখ্য যে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দ্যেক্তা থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজা দুজনকে ট্যাক্স আদায়কারী হিসাবে সরকারি বিধিবিধান না মানিয়া চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে তার আপন ভাতিজা গোলাম আজমকে ও তার শ্যালক মোঃ শরিফকে মুন্সী হিসাবে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে অর্থ আত্নসাৎ করিয়া আসিতেছে। এমতাবস্থায় স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ অধ্যাদেশ ১৮৩ এর ধারায় ১২ এর উপধারা (৩) মোতাবেক ৩ নং চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুককে আমরা ৩ নং চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের সকল ওয়ার্ডের এবং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের মেম্বারগন উপরোক্ত চেয়ারম্যানের উপর অনাস্থা করিলাম। আমরা চান্দলা ইউনিয়নের মেম্বাররা হলাম- মোসাঃ লুৎফা বেগম, মোসাঃ জরিনা বেগম, মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ রাকিব উদ্দিন খান, মো. নজরুল ইসলাম, মো. শিপন, মো. জাবেদ, মো. আলমগীর হোসেন ও মো. সাইফুল ইসলাম।
এব্যাপারে অভিযুক্ত চান্দলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়নি। অভিযোগ করেছে মাত্র। সকল মেম্বাররা এক হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আতিকুল্লাহ বলেন ৩নং চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ইউপি মেম্বাররা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স.ম. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি ৩ নং চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদের কাছে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।