সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের অভিযান নিয়ে লুকোচুরি, তথ্য দিতে অপারগতা
সৈয়দপুর, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানে বিভিন্ন হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা আদায় করা হয়। এক্ষেত্রে কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। এমনকি সাংবাদিকদের ছবি তোলার ক্ষেত্রেও বাধা দেয়া হয়েছে। ফলে এই লুকোচুরি নিয়ে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরী হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারী) দুপুর ২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাঈদ মুহাম্মদ। সাথে ছিলেন নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এনামুল হকসহ সঙ্গীয় দমকলকর্মীবৃন্দ। এসময় মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানালেও কোন কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কত টাকা করে নেয়া হয়েছে সেই তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এনামুল হক বলেন, আমরা অগ্নিকান্ড নিরোধে সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় সিলিন্ডার স্থাপনের জন্য নোটিশ প্রদান করি। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও অনেকে ভ্রুক্ষেপ না করায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আইনের প্রতি অবজ্ঞার কারণে সতর্ক করতে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তাই এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেয়া যাবেনা। ছবিও তোলা নিষেধ।
জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানসমুহের নাম কেন প্রকাশ করা যাবেনা ও তাদের ছবি কেন তোলা যাবেনা জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাঈদ মুহাম্মদ বলেন, জরিমানা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো তেমন গুরুতর কোন অপরাধ করেনি। নাম ও ছবি প্রকাশ করলে তারা হেয় প্রতিপন্ন হবে। এজন্য বাঁধাদান করা হয়েছে।
যেখানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ অভিযান চালানোর সময় সংবাদকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করেন সেখানে আপনারা প্রকাশ্যে অভিযান চালালেন অথচ মিডিয়াকে নাম ও ছবির তথ্য দিচ্ছেন না এটা কতটুকু সঠিক এবং কেন এই লুকোচুরি? এমন প্রশ্ন করলে কোন সদুত্তর না দিয়ে অভিযানকারী দলটি সটকে পড়ে।
তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, শহরের শাহ এন্ড নিরিবিলি হোটেলের ১০ হাজার, খোরাক রেষ্টুরেন্টের ১৩ হাজার, কাজল ব্যাগ হাউজের ১০ হাজার, আসিফ তারকাটার ৭ হাজার, হাতিল ফার্নিচার শোরুমের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এছাড়াও আরও কয়েকটি হোটেল ও ইটভাটার অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।