দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যানের নিন্দা ও প্রতিবাদ
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকিতে স্ক্যাভেট মেশিনে খাস জমির মাটি চুরির অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার ঘটনায় চাঁদাবাজির অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান সিকদার।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় মুরাদিয়া ইউপি কার্যালয়ে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাংবাদিকের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে লোহালিয়া নদীর চরে প্রভাবশালী মাটিচোর চক্রের মাটি কাটার স্ক্যাভেটর নাতে আটক করে প্রশাসন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ঘটনায় কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও একটি মহল তাঁকে (ইউপি চেয়ারম্যান) সামাজিক ভাবে হেয় করতে তার বিরুদ্ধে অসত্য চাঁদাবাজির অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। কে বা কারা কেনই বা অপপ্রচার করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার জানান, সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট তার একজন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী নির্বাচনী আক্রেশে তার অনুগতদের ব্যবহার করে এসব অসত্য ঘটনায় রংচং মেখে ফুলিয়ে ফাপিয়ে চটকদার অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে আমার ও ইউনিয়ন পরিষদের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।
তিনি ওইসব বানোয়াট অসত্য তথ্যের মিথ্যে সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে এসব অসত্য তথ্যে মিথ্যে সংবাদ প্রচার করে পরিষদকে হেয় করেছে ওইসব অপসাংবাদিকদের ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকতে অনুরোধ জানান।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: নাসির উদ্দিন খান চাঁদাবাজীর অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে জানান, অবৈধভাবে মাটি কেটে নেয়ার সময় প্রশাসন ভেকুটি জব্দকরা কালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং জরিমানার টাকা তার সামনেই পরিশোধ করেছে ভেকু মালিকপক্ষ। কখন কোথায় কে চাঁদাবাজি করলো তাও আমি কিছুই জানলাম না। ওনারা (সাংবাদিক) চাঁদাবাজির তথ্য পেল কই? এগুলো সবই সাজানো বানানো এবং পরিষদকে সামাজিক ভাবে হেয় করা। সংবাদ সম্মেলনে মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।