অপরিষ্কার স্থানে পণ্য উৎপাদন, নিউ প্রিন্স বেকারিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার:

অপরিষ্কার স্থানে পণ্য উৎপাদন করায় মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত ‘নিউ প্রিন্স বেকারি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’কে’ জরিমানা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকা আদায় করা হয়।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানা সংলগ্ন ওই বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ভেজালবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকার নেতৃত্বে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর এলাকায় অবস্থিত নিউ প্রিন্স বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয় এবং খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখলাম লেভেলবিহীন অবস্থায় তারা উৎপাদিত পণ্য প্যাকেটজাত করে রেখেছে। যার কোনো উৎপাদনের তারিখ নেই। যেসব কালার ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়েছে তার কোনোটাই ফুড গ্রেডেড না।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ডাস্টবিন ব্যবস্থাপনা নেই। অপরিষ্কার জায়গায় পণ্য উৎপাদন করছে। প্যাকেটের গায়ে কোনো আমদানিকারকের লেভেল নেই। এসব অপরাধে চার ধারায় ৮ লাখ টাকার জরিমানা হওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে প্রথমবার সতর্কতা হিসেবে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এরপর আগামী মাসে আমরা আবারও পরিদর্শনে এসে যদি পুনরায় একই অপরাধ পাই, তাহলে পুনরায় দ্বিগুণ জরিমানা আদায় সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেকারির মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বেকারির পরিবেশ খারাপ কিন্তু আমাদের পণ্য ভালো। হয়তো আমাদের পরিবেশটা একটু অপরিষ্কার, আমরা বেকারি পরিষ্কার করাচ্ছি। কারণ আমরা প্রতিদিনের পণ্য প্রতিদিন বিক্রি করে দিচ্ছি। আমাদের এখানে বাসি কোনো পণ্য নেই। কারখানা আরও পরিষ্কার ও ভালো করা দরকার। কিন্তু অর্থের অভাবে সেটা করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই কারখানা পরিষ্কার করি। কিন্তু কাজ করতে গেলে একটু তো অপরিষ্কার হবেই। আমাদের কর্মীরা সবকিছুই পরিষ্কার করে কিন্তু টাকার অভাবে চাইলেও অনেক কিছু পারি না। আমরা খুব সংকটে আছি। এই বেকারিতে আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না বরং লস হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যবসা তো না করেও পারছি না। কারণ মার্কেটে আমরা এখনও অনেক টাকা পাবো। এজন্যই চাইলেই ব্যবসা বন্ধ করতে পারছি না। তবে আমরা কোনো দুই নম্বর বা নকল পণ্য ব্যবহার করছি না।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * নিউ প্রিন্স বেকারিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা * পণ্য উৎপাদন
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ