আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণ
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা’র গাংকুল পাড়া এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বিধুর দাসের ছেলে রতন দাস অভিযোগ করে বলেন, ৫০৩৬ দাগের ১১ শতাংশ বাড়ির জায়গার সাড়ে ৫ শতক ভিটা ভোগ দখলে আছি।
ভুক্তভোগী রতন দাস বলেন, আমি একজন সাধারণ মৎসজীবি, আমার জায়গা জবর দখল করে ঘর নির্মাণ করছে।
পরে আমি এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সম্বল দাসের ছেলে সৌরভ দাস, অমর দাসের ছেলে দেবু দাস, তাপস দাস, ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে পরিমল দাস, মোহান বাসি দাসের ছেলে অমর চন্দ্র দাস,সুরেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে সুনির্মল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। যার নম্বর ৩৩৫/২৩।
তারা আমার জায়গা জবর দখল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকায় আমি তাদের বিরুদ্ধে পি ১০১১/১৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ১৪৪/১৪৫ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। মহামান্য আদালত বিবাদির বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য নাসির নগর থানাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ১৪৪ ধারার পরেও বিবাদীগন ঘর নির্মাণ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এসময় সম্বল দাসের ছেলে সৌরভ দাস বলেন, আমাদেরকে প্রশাসন ও সালিশ কারকরা অনুমতি দেয় ঘর তোলার জন্য তাই ঘর নির্মাণ করছি। ভুক্তভোগী রতন দাস বলেন, আমি সৌরভ দাস ও তাদের পরিবার কে ঘর নির্মাণ না করার জন্য বাধা দিলে তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়ার ও ভয় দেখায়।
এছাড়া আমি নাসির নগর থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা শ্রীবাস দাসের দারস্থ হলে তিনি আমাকে অকথ্য গালাগাল করেন। স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা ও মৎসজীবি সমির দাস (৫৭) বলেন, স্থানীয় ভাবে অনেক বার বসে শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে পরিমল দাস ও তার ভাইয়ের ছেলে তারা কেউ মানে না। উল্টো রতন কে হুমকি ধামকি দেখায়। এখন ঘর নির্মাণ করতেছে পরিমলের ভাইয়ের ছেলেরা। এছাড়া রতন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন ও করেছেন তবুও সুরাহা হয়নি।
১৪৪ ধারা অমান্য করে ঘর নির্মাণ করতে পারে কি না এই বিষয়ে জানতে চাইলে, নাসির নগর থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা শ্রীবাস দাস বলেন, ওখানে নতুন ভাবে ঘর নির্মাণ করছেনা। পুরনো ঘর মেরামত করে থাকতে পারে। আর গালাগাল করার বিষয় টা সত্য নয়।