যৌন হয়রানির অভিযোগে বদলগাছীর মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে শোকজ
রহমতউল্লাহ আশিক, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
বদলগাছীউপজেলা মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নে এক নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় ওই নারী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগের ভিত্ততে চেয়ারম্যান কে শোকজ।
নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নে এক নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় ওই নারী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপরিচালক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরও দিয়েছেন।তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে,স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশ করে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তার জবাব চাওয়া হয়েছে।
কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়েছে যে, আপনি জনাব মো: মাসুদ রানা, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, বদলগাছী, নওগাঁ এর বিরুদ্ধে একই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউডিসি উদ্যোক্তা জনাব জাকিয়া সুলতানাকে যৌন হয়রানি এবং অনৈতিক প্রস্তাব প্রদানের অভিযোগে কেন আপনার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা তাঁর জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসক, নওগাঁ এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ নিশ্চিতকরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য যে উক্ত ভুক্তভোগী নারী উদ্যোক্তা জাকিয়া সুলতানার অভিযোগে বলা হয়েছিল যে, বদলগাছীর মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে থেকে ওই নারী উদ্যোক্তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিল। তিনি মুঠোফোনে এবং বেশ কিছু চিঠির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিতেন। যার প্রমাণ আছে।ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং কিছু গোপন তথ্য ডিলিট করে দেন। পরে লোকের মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত দেন।
অভিযোগে ওই নারী আরো বলেন, ‘কিছুদিন আগে গণটিকা চলাকালে আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করেন মাসুদ রানা। আমি সেই চাঁদার টাকা দিতে না পারায় তিনি আমার সব কাজে বাধা সৃষ্টি করেন এবং ডিজিটাল সেন্টারের সব সেবা সচিব এবং হিসাব সহকারীকে প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন।
‘আমি একজন বিবাহিত নারী এবং আমার দুটি যমজ কন্যাসন্তান আছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের এমন প্রস্তাবের ফলে আমার কর্মক্ষেত্রে যেমন অসুবিধা হচ্ছে ঠিক একইভাবে সাংসারিক কলহের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে আমার বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটেছে।‘এমন অবস্থায় আমার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কাজ এবং সামাজিক চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়েছে, যার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ‘আমি যেভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি, এমনটা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে সেই কামনা করছি। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এরই প্রেক্ষিতে তাকে শোকজ করা হয়েছে।