কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রতিবেশীর সাত মাস বয়সী শিশু হত্যার দায়ে এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মোঃ রাকিব, জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রতিবেশীর সাত মাস বয়সী শিশুকে হত্যার দায়ে কল্পনা বেগম নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিকেলে মামলার একমাত্র আসামি ঐ নারীর উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন। রায়ে ওই নারীকে যাবজ্জীনসহ ২০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কল্পনা বেগম জেলার ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর-বড়কান্দা গ্রামের সেরাজ মিয়ার স্ত্রী।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী শিল্পী বেগমের সাত মাস বয়সী ছেলে নূরুন্নবীকে ঘর থেকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে কল্পনা ও তার ভাই নাহিদ মিয়া। তিন দিন পর ওই শিশুর লাশ গ্রামের দক্ষিণপাশের ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন শিশুটির মা থানায় মামলা করতে গেলে হত্যা মামলা নেয়নি পুলিশ।
পরে ২২ আগস্ট নিহত শিশু নূরুন্নবীর মা শিল্পী বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে কল্পনা ও তার ভাই নাহিদকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে ২০১৮সালের ১৪ জানুয়ারি মামলাটি রেকর্ড করে ভৈরব থানা পুলিশ। মামলার পর প্রধান আসামি কল্পনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি কল্পনা ১৬৪ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।
তদন্তশেষে ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদলাতে কল্পনার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান। চার্জশিট থেকে অন্য আসামি নাহিদ মিয়ার নাম বাদ দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ ঐ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পিপি আবু সাঈদ ইমাম। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী লুৎফুর রশিদ রানা।