ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর 

হেদায়েতুল ইসলাম নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হল বন্ধ হওয়ায় রোববার (২ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়ির উদ্দেশ্য ক্যাম্পাস ছাড়েন।  বাড়ি ফেরার পথে সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের (২০১৭ সালে গঠিত কমিটি) অনুসারীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কোটবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহীর (২০১৫ সালে গঠিত কমিটি) অনুসারীদের বিরুদ্ধে এ মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়ি ফেরার পথে মারধরের শিকার হয় ইলিয়াস হোসেনের অনুসারী বলে পরিচিত কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি ইমরান হোসাইনকে মারধর করে। এসময় তার মাথায় আঘাত পেলে প্রক্টরিয়াল টিম তাকে হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ আবির রায়হানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করা হয়। পৃথক পৃথক ঘটনায় উভয়ের ফোন কেড়ে নিয়ে ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে রেজা এলাহীর অনুসারী বলে পরিচিত বিপ্লব চন্দ্র দাস নামের এক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে কুমিল্লা সিটি কলেজ এলাকায় অটোরিকশায় থাকা একজনের সাথে মোটরবাইকে থাকা দুইজনের ধস্তাধস্তি হয়। পরে ওই দুইজনহ আরও ৪-৫ জন মিলে অটোরিকশায় থাকা কিল ঘুষি মারতে থাকে। পরে তাকে পাশের গলির ভিতরে টেনে নিয়ে মারধর করে ফেলে চলে যায়।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী ইমরান হোসাইন বলেন, সন্ধ্যায় আমি বাড়ি ফেরার পথে কোটবাড়ি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফয়সালসহ কিছু স্থানীয় ছেলে আমাকে মারধর করে। এতে আমি মাথায় আঘাত পাই। এসময় বিপ্লব দাস আমার ফোন কেড়ে নিয়ে আমার ফেসবুক ওয়ালে একটা স্ট্যাটাস দেয়। কি দিছে আমি এখনো জানিনা। আমি ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী হওয়ায় তারা আমাকে মারধর করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে মারধরের বিষয়টি অবগত এখন তারা ব্যবস্থা নিতে পারে।

আরেক ভুক্তভোগী আহমেদ আবির রায়হান জানান, আমি বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে কোটবাড়ি এলাকায় গেলে বিপ্লব নামে একজন আমাকে তার বাইকে উঠতে জোরপূর্বক চেষ্টা করে। কিন্তু আমি বাইকে উঠতে না চাইলে সে আমাকে হুমকি দেয়। পরে আমার কাছ থেকে ফোন নিয়ে আমার ফেসবুক আইডি থেকে একটা স্ট্যাটাস দেয়। আমাকে তাদের গ্রুপের গ্রুপের সাথে কাজ করতে বলে এবং ফোন ফেরত দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়ি আমাকে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে জানতে বিপ্লব চন্দ্র দাসের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা দুটি ঘটনা জানতে পারি। সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থীকে কোটবাড়িতে মারধরের কথা শুনতে পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে নিয়ে আসি। পরে ইমরানকে মারধরের ঘটনা শুনে তাকে দেখতে আসি। এখন চিকিৎসার জন্য তাদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি দাবি করে তিনি বলেন, আমি ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র ইকবালের (রেজা এলাহী অনুসারী) কাছে ঘটনাটি জানতে পেরে সেখানে যাই। তবে কাউকে আমি চিনি না।

এ ঘটনায় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিব। তবে বহিরাগত থাকলে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * ক্যাম্পাস * ছাত্রলীগ
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ