নিজ উপজেলা রাণীশংকৈলে গণ অভ্যার্থনায় সিক্ত সাফ জয়ী স্বপ্না ও সোহাগী

নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
নেপালে সাফ ফুটবলে ইতিহাস গড়েছেন বাংলার নারী ফুটবলাররা। কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ানশিপ খেলায় বিজয়ী হওয়া বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুই খেলোয়ারের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়।
২ অক্টোবর রবিবার উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ক্রীড়া সংস্থা, সোহাগী কিসকু ও স্বপ্না রাণীকে বরণ করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডিগ্রি কলেজে সংবর্ধনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না, আ’লীগ সভাপতি সইদুল হক, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান,ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগম, সোহেল রানা, অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল, আ`লীগ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদ, ক্রীড়া সংস্থার জাহাঙ্গীর আলম সরকার, প্রেস ক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, আনোয়ারুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, প্রধান শিক্ষক ফেরদৌশ আলম মানিক । প্রভাষক প্রশান্ত বসাকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি স্বপ্না ও তার বাবা নিরেন চন্দ্র, সোহাগীর কিসকু ও তার বাবা গুলজার কিসকু, রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির কোচ গোপাল মুরমু সুগার।
উল্লেখ্য, সংবর্ধিত খেলোয়ারদের ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করেন বিভিন্ন সংগঠন। উপজেলা প্রশাসন প্রত্যেকে ৫০ হাজার করে টাকা ও সাংসদ জাহিদুর ব্যাক্তিগত ভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, “রানীশংকৈলের একবারে গ্রাম থেকে উঠে এসেছে এই মেয়েরা,তাদের এই জয় দেশের উন্নয়নের অগ্রগতিতে কাজে দিবে।“
প্রধান অতিথি এমপি জাহিদ বলেন, “এই দুই খেলোয়ার দেশের জন্য যা করেছে আমরাও সেটা করতে পারি নি। তাই বলবো তারা আমাদের দেশের সম্পদ তারা দেশের এবং জাতীর গর্ব তারা বিশ্বের বুকে দেশকে সম্মানিত করেছ।“
