চাকরির পিছনে না দৌড়ে নিজেই উদ্যোক্তা হলেন যে তরুণ
অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
চাকরি না করেও যে স্বাধীনভাবে কিছু করা যায়, তা করে দেখিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলার এক তরুণ। নিজের ব্যবসার পাশাপাশি দীর্ঘ চার বছরের কঠোর পরিশ্রমে ফ্রিল্যান্সিংয়ে তিনি এখন সফল।
বলছি লক্ষ্মীপুর জেলার মোঃ ইসমাইল আহমেদ এর কথা। ইসমাইল ২০০২ সালের আগস্ট মাসের ৩ তারিখে লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উদয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে পড়াশোনা শেষ করেন এবং লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২১ সালে বিদায় নেন। তার মধ্যে দিয়েই হয়ে উঠেছেন একজন সফল ইন্টারনেট উদ্যোক্তা।
তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ২০১৮ সালে নিজ এলাকায় ‘ইসমাইল ভ্যারাইটিজ স্টোর’ নামে একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ১ বছর না যেতেই শুরু হয় বিশ্ব মহামারী করানো ভাইরাস। তখন তার ব্যবসার পরিস্থিতি ছিল খুবই খারাপ। তিনি চিন্তা করতে থাকেন কি করা যায় এই সময়, তখন তার মাথায় আসে সে অনলাইনে কাজ করবেন। তার অনলাইনের প্রতি ছিল প্রচুর মেধা। তখন তিনি ইউটিউব দেখা শুরু করেন, আর বেছে নিলেন ফ্রিল্যান্সিং। তখন থেকেই তার ব্যবসার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন – আমি প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছুই বুঝতাম না, ইউটিউব দেখেই সব শিখেছি। যখনই আমি কোনো বিশেষ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি তখন আমি আমার নিজের সমস্যা প্রকাশ করিনি। পরিবর্তে, আমি সমাধানটি বের করতে পেরেছি এবং অভিযোগ ছাড়াই এগিয়ে যেতে থাকি। সর্বোপরি, আপনি জীবনে কিছু অর্জন করতে পারবেন না যদি আপনার ধৈর্য না থাকে। জিনিসগুলি দেখার এবং শান্তভাবে কাজ করার, ধাপে ধাপে সবকিছু সমাধানযোগ্য। এই সমস্ত কাজ একদিন সফল হওয়ার ধাপ তৈরী করে। যদিও আমি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য কাজ করার সময় আমার কোন সমর্থন ছিল না, আমি কখনই বিশ্বাস হারাইনি কারণ আমার সৎ সাহস আর বিশ্বাস ছিলো যে আমার যাত্রা সবে শুরু হয়েছে। আমার স্বপ্ন ছিল আমি একজন ব্যবসায়ী হবো। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি হয়ে গেলাম ইন্টারনেট উদ্যোক্তা, কিন্তু এখনও ব্যবসা ছাড়িনি। ব্যবসার পাশাপাশি করছি ফ্রিল্যান্সিং, সেবা দিচ্ছি দেশে ও দেশের বাহিরে।
নতুন তরুণদের উদ্দেশ্যে ইসমাইল বলেন -‘আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর সময় ব্যয় করি। যদি সময়টুকু নতুন কিছু শেখার পেছনে ব্যয় করা যেতো তাহলে আমরা অনেকেই হয়তো স্বপ্নের চেয়েও বহুদূর যেতে পারতাম। বর্তমানে অনলাইনে কোটি কোটি ফ্রি রিসোর্স, ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল ইত্যাদি আছে। তাই শেখার মাধ্যম আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে।’