মহেশপুরে আঙ্গুর চাষে স্বাবলম্বী আব্দুর রশিদ

জিয়াউর রহমান জিয়া ,মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা :

সুমিষ্ট ফল আঙ্গুর চাষের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে মহেশপুরে। মহেশপুরের মাটিতে উৎপাদিত আঙ্গুর অস্ট্রেলিয়াসহ অন্য যে কোনো দেশ থেকে আমদানিকৃত আঙ্গুরের চেয়ে মিষ্টি ও সুস্বাদু। ফল ও সবজির চাষের পাশাপাশি শখের বসে আঙ্গুর ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আব্দুর রশিদ। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যোগিহুদা গ্রামের বাসিন্দা। শখের বসে আঙ্গুর ফলের চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে বাগানের সবগুলো গাছ জুড়েই রয়েছে,শুধু থোকায় থোকায় আঙ্গুর।

এত পরিমান আঙ্গুর ধরেছে যে, পাতার ফাঁকে ফাঁকে শুধু আঙ্গুরই দেখা যাচ্ছে। তার দেখাদেশি এখন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন আঙ্গুর চাষে। আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষক আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজির চাষ করে আসছেন। পরে শখের বসে বিদেশি কয়েকটি জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে তা রোপণ করেন। কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, প্রথম দিকে ভারত ও ইতালি থেকে কয়েকটি জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে নিজের ১০ কাঠা জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করি।

সাত মাস পরিচর্যার পর তার বেশিরভাগ গাছেই আঙ্গুর ফল ধরেছে। প্রতিটি গাছে ৫ থেকে ৭ কেজি করে আঙ্গুর ধরেছে। আঙ্গুর চাষের জন্য তিনি সিমেন্টের খুঁটি ব্যহার করেছেন। বাগানের ৬০টি গাছ থেকে আড়াইশ থেকে তিনশ কেজির মতো আঙ্গুর তিনি সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে চারাগুলো সংগ্রহ করলেও, আমাদের দেশের আবহাওয়া, মাটি ও আদ্রতা ইত্যাদির বিবেচনায় গাছগুলো অনেক হৃষ্টপুষ্ট ও ভালো হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন,আব্দুর রশিদের আঙ্গুর ফলের বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন মানুষ আসছে, এবং ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন,মহেশপুরের মাটি আঙ্গুরের জন্য উপযোগী।

এখানে ভাল হবে বলে আমরা আশা করছি। একজন চাষি সফল হয়েছেন।
শুরু থেকেই তিনি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেছেন এবং চলতি বছর তার বাগান আরও বিস্তৃত হয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * প্রতিটি গাছে ৫ থেকে ৭ কেজি করে আঙ্গুর ধরছে * মহেশপুরে সুমিষ্ট ফল আঙ্গুর চাষের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ