উজিরপুর বাবুপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৮ বছর যাবত চলছে ভাড়াকৃত অন্যের জমিতে
উজিরপুর বাবুপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৮ বছর যাবত চলছে ভাড়াকৃত অন্যের জমিতে। জনস্বার্থে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ খুবই জরুরী।
মোঃ জালাল উদ্দীনঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর বাবুপুর উচ্চ বিদ্যালয় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বারবার তলিয়ে যাওয়াই দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত বার্ষিক ১২ হাজার টাকা ভাড়ায় অন্যের মাটিতে আধা পোকা ঘর উঠিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে ।
উজিরপুর বাবুপুর উচ্চ বিদ্যালয় অবহেলিত দিয়াড় অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ১৯৭৩ সালে চরকাডাঙ্গা বাজারে স্থাপন করা হয়। উজিরপুর বাবুপুর উচ্চ বিদ্যালয় ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ৩বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। বর্তমানে বিদ্যলয়টি শেখটোলা জোত বিনোদ মাঠে বার্ষিক ১২ হাজার টাকায় ভাড়াকৃত অন্যের জমিতে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে।
উজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান করছেন ১০ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক । উজিরপুর বাবুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আধাপাকা টিনসেট ৬টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ গুলো মানসম্মত নয়। বিদ্যালয়ে অদ্যাবধি বিদ্যুতিক সংযোও না থাকায় বিদ্যালয়ের অফিস ও শ্রেণীকক্ষ গুলোতে ফ্যানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। ফলে গরমের সময় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঘেমে একাকার হয়ে যায় । বর্ষার সময় টিন চুয়ে ঘরের ভেতরে সমানে পানি পড়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাঠে মনোযোগী হতে পারে না।
খাবার পানির জন্য একটি টিউবেল ও ৩টি পায়খানা রয়েছে তা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তুলনায় পর্যাপ্ত নয় । এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ওয়াশরুম নেই। লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত বই রয়েছে কিন্তু বসে পড়ার মত ঘর নেই। এছাড়া এ বিদ্যালয় প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক জনাব সাইরনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবণের জন্য পাশেই প্রয়োজনীয় জমি কেনা হয়েছে। কিন্তু নিজস্ব অর্থায়নে একাডেমিক ভব নির্মাণ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এজন্য আমরা এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ হলে মানসম্মত শ্রেণিকক্ষ সহ ওয়াশরুম, ছাত্র–ছাত্রীদের মিলনায়তন, লাইব্রেরী রুম, কম্পিউটার রুম সহ সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সেই সাথে শিক্ষার গুণগত মান আরো বাড়ানো সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।