শীত চলে গেলেও ঠাকুরগাঁওয়ে রয়ে গেছে অতিথি পাখি
মোঃ জাহিদ হাসান মিলু, জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও:
শীতের আগমনে প্রকৃতি সাজে নতুন সাজে। প্রকৃতির এ নতুন রূপকে আরও ফুটিয়ে তুলে অতিথি পাখির দল। শীতের আগমনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘিতে দলবেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে এসেছে হাজার হাজার অতিথি পাখি। আশ্চর্যের বিষয় হলো দিন পঞ্জিকায় শীত ঋতু শেষ হলেও বসন্ত ঋতুতেও এখনো অতিথি পাখি গুলো রয়ে গেছে এই দিঘিতে।
২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘিতে সরেজমিনে গেলে দেখা মিলে হাজারো নাম না জানা অচেনা অতিথি পাখির। অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে এখনো মুখরিত এই দিঘি।
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রামরাই দিঘির পাড়ের লিচু গাছে আশ্রয় নেয় এই অতিথি পাখিরা। ভোর হলেই আবার খাবারের সন্ধানে রামরাই দিঘির পানিতে ভিড় জমায় পাখিরা। আর এই ঐতিহ্যবাহি দিঘি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেক দর্শনার্থী। এতে এখানে এসে দর্শনার্থীরা আরও মুগ্ধহন অতিথি পাখির মিলন মেলা দেখে।
প্রতি বছর শীতের শুরুতে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে এই দিঘিতে আসে বাহারি রংয়ের অতিথি পাখির। প্রচন্ড শীতের দেশ সুদূর সাইবেরিয়া। পাখিরা সাইবেরিয়ার শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে অভয়াশ্রম হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশকে। এদেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড় অতিথি পাখিদের খুব প্রিয়। যেন সুদীর্ঘকাল ধরে তাদের কাছে পরিচিত বাংলাদেশের নদ-নদী ও হাওর-বাওড় গুলো। তেমনি একটি জলাশয় হলো রামরায় দিঘি।
স্থানীয়রা ও দর্শনার্থীরা বলেন, অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে এই দিঘিটি। এটি সত্যিই মনমুগ্ধকর ও সুন্দর দৃশ্য।
রামরাই দিঘির ইজারাদার ও মৎস্য চাষি নওরোজ কাউসার কানন বলেন, ‘পাখিপ্রেমিরা এখানে এসে পাখি দেখে। এখানে যাতে পাখিরা নির্ভয়ে থাকতে পারে তার ব্যবস্থা কওে থাকেন তারা বলেন জানান তিনি।
রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম (মুন্না) বলেন, রামরাই দিঘিটিকে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে পর্যনট কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা ও বিশেষ করে শীতকালিন পাখিদের জন্য এটিকে অভয়াশ্রম করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে ঢাকা মেইলকে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির জানান, প্রথমত সেখানে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত নৌকা চালানো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জলাশয় ইজারাদারদের। আর দ্বিতীয়ত এবার শীতের স্থায়ীত্ব বেড়ে য়াওয়ার ফলে এখনো পাখি গুলো সেখানে অবস্থান করছে।