অড়ালেই রয়ে গেল পর্যটন স্পট বাগলী ছড়া
রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ):
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তরেখা ভেদ করে ওপারের মেঘালয় পাহাড় হতে স্বচ্ছ জলরাশী নেমে এসেছে বাগলী ছড়ায়।
ইউ আকৃতির এই পাহাড়ি ছড়ায় জলধারা মিশে গেছে এপারে।এরালীকোনা,পাটলাই নদী,ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ টাঙ্গুয়ার হাওরের নীল জলরাশীর বুকে।পাহাড় আর জলরাশীর এক অদ্ভুদ মিতালি চোখে পড়ে এ ছড়ায়।বাগলী ছড়া নদীর তিন পাশ জুড়ে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের খাঁস খতিয়ানভুক্ত ত্রি-কোন আকৃতির কয়েক’শ একর জায়গা।
দেশের পর্যটন শিল্পকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে,সুনামগঞ্জের হাওর সীমান্তজনপদ ঘেষা ২৬ দর্শনীয় স্থান।তেমনি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাগলী ছড়ার আশেপাশে থাকা সরকারী খাঁস খতিয়ানভুক্ত জায়গা দখল মুক্ত করা গেলে পাহাড় আর জলরাশীকে ঘিরে বাগলী সীমান্ত জনপদ হয়ে উঠতে সম্ভব হতো হাওর সীমান্তজনপদ ঘেষা দেশের আরো একটি অন্যতম দর্শনীয় পর্যটন স্পট।
বর্তমান প্রেক্ষাপট দারিদ্র দূরীকরণ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরজীবন মান উন্নয়ন সহ দেশের অন্তর্ভুক্তিমুলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এমন দর্শণীয় স্পট পর্যটকদের নিকট ব্যাপক ভাবে সারা ফেলত।সেই সাথে‘জাতীর জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’দেখানো শহর গ্রামের ব্যবধান কমে যেত।কিন্তু গত কয়েক দশকের ব্যবধানে দখলে দূষণে পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করে সেই দর্শনীয় স্থানকে ঘিরে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে কয়লা-চুনাপাথরের কয়েক’শ অবৈধ ডিপো।যা সরকারের খাঁস খতিয়ানভুক্ত জায়গা জুড়ে কয়লা-চুনাপাথর মজুদ করে বছরে কয়েকজন ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা ব্যাক্তিগত ভাবে আয় উপার্জন করে আসলেও এ জায়গায় বিপরীতে সরকারের কোষাগারে যাচ্ছেনা কানা কড়ি টাকা।‘এমন দর্শনীয় স্থান কিছু অসৎ প্রভাবশালী চক্র,ব্যাক্তি,গোষ্ঠী,কয়েকজন ব্যবসায়ীর স্বার্থে দেশী-বিদেশী পর্যকটকের চোখের আড়ালেই রাখা হয়েছে।’