আ. লীগের নির্বাচনী কার্যালয়সহ দোকানঘর ভাঙচুর-লুটপাট অগ্নিসংযোগ
শেখ মো: আতিকুর রহমান আতিক,গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় ও কর্মী-সমর্থকের দোকানঘর ভাঙচুর-লুটপাট এবং খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার দিবাগত রাতে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী প্রধানের কর্মী-সমর্থকরা এই ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম বকুলের। এ ঘটনায় তিন লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সাঘাটায় আগামী বুধবার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাঘাটা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সাঘাটার কচুয়া ইউনিয়নের সতীতলা সাহেব বাজারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম বকুলের কর্মী-সমর্থকদের দোকানঘর ভাঙচুর করে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী প্রধানের কর্মী-সমর্থকরা। ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল ওই বাজারের নির্বাচনী কার্যালয়, আমিনুল ইসলাম মান্নু ও সেরেকুল ইসলামের ওষুধের দোকান, তোফাজ্জল হোসেনের কাঁচামালের দোকান, তাজুল ইসলামের সার ও কীটনাশকের দোকান, তরিকুল ইসলামের মুরগির দোকান এবং ওসমানের পাড়া রেলগেইটে শাহজাহান মিয়ার একটি চায়ের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় আব্দুল হালিম মন্ডলের খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে সাঘাটা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় ও গভীর রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় অবস্থান করে।
এ প্রসঙ্গে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী প্রধানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠজন একজন বলেন, আমরা মিছিল ও গণসংযোগ শেষে ওসমানের পাড়া রেলগেইটে অবস্থান করি। এসময় রফিকুল ইসলাম বকুলের নির্দেশে পাঁচটি দামি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারই কর্মী-সমর্থকরা। আমাদের উপর দোষ চাঁপাতে তারা নিজেরাই নিজেদের দোকান ভাঙচুর করেছে। এ বিষয়ে সোমবার সকালে আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম বকুল বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে আটজনের নামে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ তারপরও তাদের ধরছে না। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার জন্য ধারালো অস্ত্র তৈরি করে রেখেছে তারা। এ নিয়ে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাতিজা জিহাদ প্রধান “৫ তারিখ কবে আসবে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছি না” মন্তব্য করে সম্প্রতি ফেইসবুকের স্টোরিতে ধারালো অস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে। হামলার ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি।