কৃষকের শসাময় রাজ্যে চোখ জুড়ে স্বপ্ন
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন ও জয়পুরহাট জেলার ভাদশা ইউনিয়ন এর মাঠজুড়ে দেখা মিলছে শত -শত বিঘা শসা ক্ষেত। যেন এই অঞ্চল শসার একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত ।
‘নওগাঁ’ বরেন্দ্র অঞ্চলের সর্ববৃহৎ জেলা। এ জেলার প্রধান চালিকাশক্তি কৃষি। জেলার উৎপাদিত কৃষিপণ্য জেলার চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে। তাছাড়া এজেলায় উৎপাদিত শসার কদর বেশি। চাষকৃত লালতীর জাত এবং কিংসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি জাত উৎপাদিত হয় এখানে।
বর্ষার সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শসা চাষের উপযুক্ত সময় হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। এবার প্রায় পুরো জেলা জুড়ে শসার উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে অতিরিক্ত খরা-অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকের দাবি আগামী বছরের তুলনায় এবারের ফলন কম।
চাকলা গ্রামের মোঃ সুলতান মাহমুদ (৪৯)নামে একজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর তিনি শসা চাষ করেছিলেন এবং ভালো ফলাফলের জন্য এবার তিনি ১ বিঘা জমিতে শসা রোপণ করেন। কৃষকের তথ্য মতে, বিঘা-হারে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচে এই ফসল সম্পূর্ণভাবে উৎপাদন করা যায়। এবং বিঘাপ্রতি প্রায় ৭০-৯০ মণ পর্যন্ত শশা পাওয়া সম্ভব। তবে এবছর তাপদাহ ও অতিরিক্ত খরার কারণে উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে বলে জানান কৃষক, শসার বাজার মূল্য জানতে চাওয়া হলে কৃষক বলেন প্রতিমণ এখন ১১০০থেকে ১৪০০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। তবে আগামী বছরের তুলনায় এবার লোকসানে পড়তে হবে।
আরও কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা বললে তাদের মধ্যে একজন বলেন, এবার সে শসা চাষ করেছে ১৫ শতক জায়গা জুড়ে, ফলন ভালো হলে এবং আশানুরূপ মুল্য পেলে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত শসা বিক্রয় করতে পারবেন। তবে শসা ক্ষেতে এবছর কয়েকটি পচাঁ রোগের লক্ষণের দেখা মিলছে বেশি। এতে করে অনেক শশার জমি মারা পড়ছে। কৃষককে লোকসানের মুখে ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এবং কৃষক শসা চাষে অনীহা প্রকাশ করছে ।
রহমতউল্লাহ
নওগাঁ প্রতিনিধি