ধর্মের নামে সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা সফল হবে না- ওবায়দুল কাদের
ধর্মের নামে সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা সফল হবে না- ওবায়দুল কাদের

সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় অনলাইনে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেখ হাসিনার সরকার সব সময় অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “ধর্ম অনুশীলন মানুষের মনের জানালা খুলে দেয়, জগতকে চেনার সুযোগ করে দেয়। অথচ ধর্মের নামে আজকাল কিছু বিভ্রান্ত মানুষের অপকর্ম আমাদের ব্যথিত করছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশে ঈদ ও পূজায় যেভাবে সর্বজনীন উপস্থিতি বাড়ছে, এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। আমরা যখন দেখি, কিছু কিছু জায়গায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দিত। এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা ধরা পড়েনি, তাদেরও ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। তারা কেউ ছাড়া পাবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের নাগরিক হিসেবে সবার সমান সুযোগ বা অধিকার রয়েছে। আপনারা নিজেদের মাইনরিটি ভাববেন না। এই অভ্যাস আপনাদের মানসিকভাবে পিছিয়ে রাখবে। আপনারা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। নাগরিক হিসেবে একজন মুসলমান নাগরিকের যে অধিকার, আপনাদেরও ঠিক সমান অধিকার রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার কথা এবং কাজে এটা বিশ্বাস করে। তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়ে গড়ে তুলতে চাই সম্প্রীতির সোপান।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মাঝে মধ্যে একটি সাম্প্রদায়িক চক্র ও অশুভ শক্তি এ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য ভাঙতে অপচেষ্টা করে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, শেখ হাসিনা যত দিন সরকারে আছেন, তিনি আপনাদের সঙ্গে আছেন। আপনাদের কোনও ভয় নেই। যারা এই সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে, তারা সফল হবে না।’
কাদের বলেন, ‘২০০১ সালের সেই স্মৃতি আমরা ভুলে যাইনি। সেদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কীভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে, কত মন্দির ভাঙা হয়েছে, কত হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা করা হয়েছে। অনেক নারী নির্যাতিত হয়েছেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্তের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।