গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে

বুধবার কেন্দ্রীয় ঔষধাগার মিলনায়তনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রবাসী বাংলাদেশের উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ভেন্টিলেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
দেশে এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে চলছে টিকা কর্মসূচি। তবে গেলো ৭ আগস্ট বিশেষ ক্যাম্পেইনে শুধু এনআইডি নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই টিকা দেয় সরকার।
এতে সারা দেশে এক দিনেই টিকা পান প্রায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ। মডার্না ও ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখেই দেয়া হয়েছে প্রথম ডোজ। কিন্তু সিনোফার্মের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ না রেখেই দেয়া হয় প্রথমবার। এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে দেশে মজুত আছে ৫০ লাখেরও কম টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানালেন, সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। সোমবারই দেশে আসবে ৫০ লাখ টিকা। এদিকে, সিনোফার্মের টিকায় বিভিন্ন দেশের বিধিনিষেধ থাকায় বিদেশগামীদের জন্য অক্সফোর্ড ও ফাইজারের টিকার ব্যবস্থা করছে সরকার।
প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়ার মতো দেশে এখন সিনোফার্ম ছাড়া অন্য টিকা নেই। এদিকে, এই টিকা গ্রহণ করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ঢোকার অনুমতি নেই। সৌদি আরবে হজের ক্ষেত্রেও আছে নিষেধাজ্ঞা। এসব দেশে অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে ভ্রমণের অনুমতির চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা এলে, সেখান থেকেও দেয়া হবে বিদেশগামীদের।
এদিকে, কিছু হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগছে। রোগীর ভোগান্তি কমাতে অপারেশন বা চিকিৎসা শুরুর আগে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।