বরিশাল ইউএনও’র বাসভবনে হামলা, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩৫

হামলাকারীদের ধরতে সিটি মেয়রের বাসার আশপাশের এলাকায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা যায়।
এঘটনায় বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক শ্রমিকরা। ৪ ঘণ্টা পর বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের বাসার সামনে পোস্টার সরানোর কাজ শুরু করে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেসময় হইচইয়ে বিরক্ত হয়ে তাদের কাজে বাধা দেন মুনিবুর। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবুসহ ৬০ থেকে ৭০ জন ইউএনওর বাড়িতে হামালা চালায়। ছুঁড়তে শুরু করে ইট পাটকেল। তাদেরকে ঠেকাতে ইউএনও’র বাসভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৯ জন আহত হন।
পরে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
আহতদের সবাই মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতারাও। তবে গুলিবর্ষণের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন তারা।
হামলা ও সংঘর্ষের পর ঢাকা–বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় বরিশাল থেকে দূরপাল্লার সড়ক যোগাযোগ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে।