লকডাউনে ব্যাপকহারে কমেছে রাজস্ব আদায়
করোনা প্রতিরোধে অর্থবছরের প্রথম দিনেই শুরু হয় লকডাউন। ঈদ উপলক্ষে ১৫ তারিখ থেকে এক সপ্তাহের জন্য শিথিল করা হলেও, ২৩ তারিখ থেকে বিধিনিষেধ আরো কঠোর করে সরকার। এসময় খাদ্য, ওষুধ ও চামড়া খাত ছাড়া সব ধরনের কারখানাও বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে ভ্যাট আদায়ে। এনবিআরের হিসাবে ৭ হাজার ৬শ ৮০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয় ৪ হাজার ২শ ৩৪ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ কম।
জুলাইয়ে আমদানি শুল্কও কমেছে প্রায় তিন শতাংশ। তবে আয়করে প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের মতো। সবমিলিয়ে জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম প্রায় সোয়া ৭ হাজার কোটি টাকা।
উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনার দীর্ঘ আঘাতে ক্রয় ক্ষমতা কমেছে অনেক মানুষের। এ অবস্থায় ব্যবসায় গতি ফেরাতে আমদানির অগ্রিম কর বাতিল করে খরচ কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।
তবে করোনার প্রভাবে বিপরীতমুখী চিত্রও দেখা যাচ্ছে অর্থনীতি। দরিদ্র মানুষ যেমন বেড়েছে, তেমনি অতি ধনীর সম্পদও বাড়ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেখানে বেশি সম্পদ সৃষ্টি হয়, সেখানে কর আদায় বাড়াতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয় তেমন না বাড়লেও সরকারকে ব্যয় বাড়াতে হবে। এজন্য বিদেশি উৎস থেকে ঋণ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।