আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক কামাল: প্রধানমন্ত্রী
সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো জানান, “১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড না ঘটলে অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিনত হত বাংলাদেশ”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু ক্রীড়া নয় মুক্তিযুদ্ধেও ছিলো শেখ কামালের বিশেষ অবদান। যুবকদের সংগঠিত করার পাশাপাশি দিয়েছিলেন গোপন ট্রেনিং। দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলায় আন্তরিকতার সাথেও কাজ শুরু করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্টের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়েও আক্ষেপ করেন।
এর আগে গণভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর অবমুক্তকরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেন।
আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনও তিনি গড়ে তুলেছিলেন।
ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন শেখ কামাল। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যও ছিলেন তিনি।
কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করা হয়। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ঝরে যায় শেখ কামালের জীবন। তার স্ত্রী অ্যাথলেট সুলতানা খুকুকেও সেদিন রেহাই দেয়নি ঘাতকের বুলেট।