অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়

নিজেদের সর্বনিম্ন পুঁজি নিয়েও জিতল দল। ২৩ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ২০১৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করেও জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার জিতল ১৩২ রানের লক্ষ্য দিয়ে।
১৩১ রানের পুঁজি নিয়ে বল হাতে যেমন শুরু প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, ঠিক তেমন শুরুই এনে দিয়েছে মেহেদি, সাকিবরা। ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড অ্যালেক্স কেয়ারিকে বোল্ড করেন মেহেদী। শূন্য রানে অস্ট্রেলিয়া হারাল প্রথম উইকেট।
প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারেও আরেকটি উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। এবার নাসুম আহমেদের বাঁহাতি স্পিনে স্টাম্পড জশ ফিলিপি। ফিলিপি চেষ্টা করেন বেরিয়ে এসে খেলার। কিন্তু নাসুমের ফ্লাইট ও লুপ ছিল দুর্দান্ত। বল টার্ন করে বেরিয়ে যায় ফিলিপির ব্যাটের পাশ দিয়ে। বল গ্লাভসে জমিয়ে চোখের পলকে বেল উড়িয়ে দেন কিপার নুরুল হাসান সোহান।
প্রথম দুই ওভারের ধারাবাহিকতায় তৃতীয় ওভারেও বাংলাদেশ পেল আরেকটি উইকেটের দেখা। এবার প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব আল হাসান।
সাকিবের বলটি ছিল অফ স্টাম্পে, ফ্লাইটেড ডেলিভারি। মোইজেস হেনরিকেস চেষ্টা করেন সুইপ খেলার। বল তার ব্যাটের নিচে লেগে দুই পায়ের ফাঁক গলে আঘাত করে স্টাম্পে।
নাসুম আহমেদ বোলিংয়ে ফিরলেন, পেয়ে গেলেন উইকেট। লেগস্টাম্পের বেশ বাইরে নিরীহ বলটা ম্যাথু ওয়েড ছেড়ে দিলে হতে পারতো ওয়াইড। সেটিতেই শট খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। ফাইন লেগে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১০ম ওভারে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
৯ম ওভারে ইনিংসের ৪র্থ স্পিনার হিসেবে আক্রমণে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনটি সম্ভাবনা তৈরী করেছিলেন, তিনটিই কঠিন।
আগের ওভারে বেশ বাজে বলেই উইকেট পেয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। এবারও তার উইকেটে থাকল ভাগ্যের ছোঁয়া। হিট উইকেট হয়ে ১২ বলে ৭ রান করে গেলেন অ্যাশটন অ্যাগার।
নাসুমকে স্লগ সুইপ করে টাইমিং করতে পারেননি মার্শ। সীমানা থেকে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত এক ডাইভিং ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম। ৪৫ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ৪৫ রান করে ঘরে ফেরেন মার্শ। তিনি নাসুমের চতুর্থ শিকার। বাঁহাতি এই স্পিনার ১৯ রানে নেন ৪ উইকেট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন। তবে শেষ বলে উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।
বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ হয়েছে নাসুম আহমেদ। মেহেদী পেয়েছে ১ উইকেট, মুস্তাফিজ ২, শরিফুল ২।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে মাত্র ১৩১ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। ১৭ বলে তিন চারে ২৩ রান করেন আফিফ। শামীম হোসেন ৪, সাকিব আল হাসান ৩৬, ৩৩ বলে তিন চারে ৩৬ রান করেন সাকিব। ৪ বলে ৩ রান করেন সোহান। ২০ বলে ২০ রান করে উড়ো শটে ক্যাচ আউট হয়েছেন অলরাউন্ডার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। নাঈম ২৯ বলে ৩০ রান। মেহেদী ৭ রান করেন। ওপেনিং খেলতে নেমে ৯ বলে দুই রান করেন সৌম্য। শুরুতেই ভাঙে ১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।