ইসরায়েলের তৈরি হ্যাকিং সফটওয়ার পেগাসাসের তালিকায় বাংলাদেশ, মন্ত্রী যা বললেন

ইসরায়েলে তৈরি হ্যাকিং সফটঅয়্যার পেগাসাস যে ৪৫টি দেশে ছড়ানোর তথ্য এসেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের নামও রয়েছে।
তবে বাংলাদেশে কোনো ধরনের ‘অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি’ মন্তব্য করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সরকার এ বিষয়ে ‘সতর্ক রয়েছে’।
বাংলাদেশ এ ধরনের কোন সফটঅয়্যার কিনেছে কিনা জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেছেন, “এ রকম সফটঅয়্যার কেনার কোনো প্রশ্নই আসে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টা ভালভাবে বলতে পারবে।”
এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্য জানার কোনো চেষ্টা এখন পর্যন্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম করেনি।
বলা হচ্ছে, কোনো বেসরকারি কোম্পানির তৈরি করা সবচেয়ে শক্তিশালী স্পাইওয়্যার হল এই পেগাসাস। ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ এই নজরদারি সফটওয়্যার তৈরি করেছে এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে তা বিক্রি করেছে।
এই হ্যাকিং সফটঅয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকার মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্র হ্যাকিংয়ের এই ঘটনা ফাঁস করার পর এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা।
এই হ্যাকিংয়ের লক্ষ্যবস্তের তালিকায় ভারতের অন্তত ৩০০ রাজনীতিক, সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, বিজ্ঞানীর নাম থাকার কথা জানিয়েছে দেশটির নিউজ পোর্টাল দ্য অয়্যার। তবে ভারত সরকার এই আড়িপাতায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ফাঁস হওয়া একটি ডেটাবেইসে এই ফোন নম্বরগুলো প্রথমে পায় প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, পরে তারা গার্ডিয়ান, দ্য অয়্যারসহ ১৬টি সংবাদ মাধ্যমকে তা জানায়। তারা সবাই মিলে এই অনুসন্ধানের নাম দিয়েছে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’।
পেগাসাস নামের এই স্পাইওয়্যার আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ঢুকে ব্যবহারকারীর মেসেজ, ছবি, ইমেইল পাচার করতে যেমন সক্ষম, তেমনি কল রেকর্ড এবং মালিকের অগচোরে গোপনে তার ভিডিও করা বা মাইক্রোফোন চালু করে কথোপকথনও রেকর্ড করতে পারে।