রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ১১২ শতাংশ
সম্প্রতি রপ্তানি বেশ বেড়েছে। এতে প্রায় সব খাতের রপ্তানিকারকদের মুখে হাসি ফুটেছে। ২০২০–২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৩ হাজার ৫১৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মে মাসে দেশ থেকে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১১২ শতাংশ বেশি।
প্রবৃদ্ধি বেশি হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কোভিড আবহে গত বছরের এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহ শিল্পকারখানা বন্ধ থাকায় রপ্তানিতে ধ্বস নেমেছিল। পরের মাস থেকে আবার রপ্তানি বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ফের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এ সময় লকডাউন জারি হলেও শিল্পকারখানা চলছে। এতে বাড়ছে রপ্তানি।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, রাসায়নিক পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। এ সময়ে মোট ২ হাজার ৮৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলো লকডাউন তুলে নিতে শুরু করেছে। তাই ক্রয়াদেশ আসছে। তবে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও কিছু সময় লাগবে। আশা করছি, আগামী অক্টোবরের পর থেকে পোশাক রপ্তানি ভালো অবস্থায় পৌঁছাবে।