ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
বগুড়ার শিবগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা আবদুর রহমান মিন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বগুড়ার শিবগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা আবদুর রহমান মিন্টু নামে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জেলার শিবগঞ্জ সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবদুর রহমান মিন্টু শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের পার লক্ষ্মীপুর চাঁনপাড়া গ্রামের মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে। সে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল কলেজপাড়া মহল্লার হযরত ফাতেমা (রা.) হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
পুলিশ জানায়, আবাসিক এ মাদ্রাসায় ১২ জন ছাত্রী একসঙ্গে হলরুমে থাকে। তাদের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীও লেখাপড়া করত। হলরুমের পাশেই সপরিবারে মাওলানা আবদুর রহমান মিন্টুর বসবাস। রোববার ছাত্রীরা ঘুমিয়ে পড়লে রাত প্রায় আড়াইটার দিকে মিন্টু হলরুমে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয়। পরদিন ওই ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে জানালে তারা ওই ছাত্রীকে বাড়ি নিয়ে যান।
মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অধ্যক্ষকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এর আগেও সে ওই মাদ্রাসার তিন থেকে চারজন ছাত্রীকে একই কায়দায় ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। মান-সম্মানের ভয়ে ওইসব পরিবারের লোকজন আইনের আশ্রয় নেননি।