গাজি রাকায়েত পরিচালিত ‘দ্য গ্রেভ’ ১৪ মে বানিজ্যিক ভাবে হলিউডে মুক্তি পাচ্ছে
গাজি রাকায়েত পরিচালিত প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্য ইংরেজী চলচ্চিত্র ‘দ্য গ্রেভ’ আগামী ১৪ মে বানিজ্যিক ভাবে হলিউডে এ মুক্তি পাচ্ছে। প্রতিদিন ৩টি করে প্রদর্শনী হবে।
এ ছাড়াও, পর্যায়ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু শহরে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
গাজী রাকায়েত বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে যে সিনেমা দেখানো হয় সেটিকে অস্কার কোয়ালিফাই হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ ‘দ্য গ্রেভ’ এই হলে দেখানোর পর অস্কারে কোয়ালিফাই করে দেবে কর্তৃপক্ষ। যা বাংলাদেশি সিনেমার জন্য বড় অর্জন।
গাজী রাকায়েত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নতুন ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হলাম। প্রথম সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়া বাংলাদেশি ইংরেজি ভাষার ছবির পরিচালক আমি। সরকার আমাকে এটি বাংলায় নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বলা যায়, একটু চালাকি করেই ইংরেজিসহ অনুমোদন করে নিয়েছি। এর কারণ, আমরা টিনের তলোয়ার দিয়ে বিশ্বজয় করতে পারব না। এক হাজার কোটি টাকার বাজেটের সঙ্গে মাত্র ৬০ লাখ টাকা বাজেট দিয়ে লড়াই করা যাবে না। কিন্তু ভাষার মাধ্যমে অন্তত সারা বিশ্বে ছবিটি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। ইংরেজিতে করার কারণে শুটিংয়ের সময় একই দৃশ্য দুবার করেছি—একবার বাংলায়, আরেকবার ইংরেজিতে।’
দ্য গ্রেভ সিনেমাটি মূলত বাংলা ও ইংরেজিতে নির্মিত হয়েছে। বাংলা ভাষার প্রথম ইংরেজি সিনেমা এটি। বাংলায় যার নাম “গোর”।
গাজী রাকায়েত সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি গোর খোদকের চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন।
এতে আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ,দিলারা জামান, মৌসুমি হামিদ, সুষমা সরকার, শামীমা তুষ্টি ,এসএম মহসিন,দীপান্বিতা প্রমুখ।
উল্লেখ্য,গত বছরের শেষ সিনেমা হিসেবে চট্টগ্রামের দুটি হলে মুক্তি পেয়েছিল গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘দ্য গ্রেভ’ । আবার চলতি বছরের প্রথম শুক্রবারও সিনেমাটি ঢাকার দুটি হলে মুক্তি পায়।
‘দ্য গ্রেভ’ ও ‘গোর’ সিনেমার গল্প একই। পরিচালকও গাজী রাকায়েত নিজেই। ‘দ্য গ্রেভ’ ইংরেজি ভাষায় এবং ‘গোর’ বাংলা ভাষায় নির্মিত হয়েছে।
‘দ্য গ্রেভ’ ও ‘গোর’ সিনেমার ব্যাপ্তিকাল দুই ঘণ্টা ১২ মিনিট।
সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা হলেও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এতে সহ-প্রযোজক হিসেবে সম্পৃক্ত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে গাজী রাকায়েত বলেছেন, “সিনেমাটির আসল শক্তি হচ্ছে এর গল্প। এটি গল্প প্রধান।” উল্লেখ্য, ‘দ্য গ্রেভ’র শুটিং হয়েছে দোহারে। সেখানে পুরোপুরি সেট সাজিয়ে সিনেমাটির শুটিং করা হয়।
গাজী রাকায়েত ছয় বছর আগে নির্মাণ করেছিলেন ‘মৃত্তিকা মায়া’ শিরোনামের একটি সিনেমা। সেটি ১৭ ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলো। যা এদেশে একটি বিরল রেকর্ড।