অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত জানতে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন বুধবার (৬ মার্চ) দলগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংস্কার বাস্তবায়নের পাঁচটি প্রস্তাবিত পদ্ধতি
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়ার জন্য পাঁচটি বিকল্প প্রক্রিয়া দেওয়া হয়েছে—
- নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে
- নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে
- নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে
- গণপরিষদের মাধ্যমে
- নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে
এছাড়া, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে মতামত জানানোর জন্য তিনটি অপশন রাখা হয়েছে—
✅ একমত
🤝 আংশিক একমত
❌ ভিন্নমত
‘জুলাই চার্টার’ ও সম্ভাব্য সংস্কার প্রক্রিয়া
রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশে একমত হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে একটি ‘জুলাই চার্টার’ বা সনদ তৈরি করা হবে।
দলগুলোর সম্মতি পাওয়া গেলে পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জনপ্রশাসনসহ যেসব বিষয়ে সাংবিধানিক প্রশ্ন নেই, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কার করবে সরকার।
তবে, সংবিধান, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংশোধনের মতো সাংবিধানিক বিষয়গুলো গণভোটের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই কমিশন কাজ করছে।
এখন দেখার বিষয়, রাজনৈতিক দলগুলো কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য কোন পদ্ধতিকে তারা বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করে।