নাটক ও সিনেমার জনপ্রিয় মুখ ইরফান সাজ্জাদ এবার এক ব্যতিক্রমী চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়েছেন। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘আলী’। সিনেমাটি ঘিরে দর্শক ও সমালোচকদের আগ্রহের কমতি নেই। অটিজম ও বাকপ্রতিবন্ধকতাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এ সিনেমায় আলী চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান। চরিত্রটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও গভীর অভিজ্ঞতা বলেই মনে করছেন তিনি।
চরিত্রের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ইরফান বলেন,
“২০২৩ সালের শুরুতে সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়। এরপর চার মাস ধরে চরিত্রটি বোঝার চেষ্টা করি। অটিজম সাপোর্ট সেন্টারে যাওয়া, অভিভাবক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ এবং সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি নিই। পুরো সিনেমায় আমাকে কথা বলতে হয়েছে শুধুই ইশারায়।”
এই চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে ইরফান বলেন,
“এই সিনেমা আমাকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে। যারা ‘ভিন্ন’ বলে সমাজে বিবেচিত, তাদের প্রতি এখন আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে।”
দর্শকের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন,
“এটি এমন এক গল্প, যেখানে সবাই নিজেকে কোথাও না কোথাও খুঁজে পান। দর্শকরা ইতোমধ্যেই সিনেমাটিকে নিজেদের গল্প হিসেবে গ্রহণ করছেন।”
‘আলী’ সিনেমার বার্তা কী?
ইরফান মনে করেন, সিনেমাটি সমাজের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়—“ভিন্নতা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং সেটিই একেকজন মানুষের শক্তি হয়ে উঠতে পারে।”
পরিচালক বিপ্লব হায়দারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন,
“তিনি জোর করেননি, বরং সময় দিয়েছেন। তাঁর একটি কথা আমার মনে গেঁথে আছে—‘ইরফান, অভিনয় করো না, আলী হয়ে ওঠো।’ সেটাই চেষ্টা করেছি।”
ভবিষ্যতে এমন চরিত্রে কাজ করার আগ্রহ আছে কি?
“অবশ্যই,” বলেন ইরফান। “আমি চাই এমন চরিত্রে কাজ করতে, যা আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে, নিজেকে নতুন করে গড়তে বাধ্য করবে। কারণ, একজন অভিনেতার প্রতিদিন জন্ম নেওয়া উচিত।”