মুহ. মিজানুর রহমান বাদল, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি বালিকা মাদরাসার প্রথম শ্রেণির এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে অবস্থিত হযরত ফাতেমা মুহাম্মদ (সা.) বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানায়। অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম, যিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৮টার দিকে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার একটি ফাঁকা কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে চোখ-মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়।
রোববার (১৮ মে) দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে ভিকটিমের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা মাদ্রাসা চত্বরে জড়ো হন। একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর বক্তব্যে উঠে আসে, প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আগেও এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক শিক্ষার্থীর মা জানান,
“আমার মেয়ে শনিবার তার বাবার ফোনে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমি বাড়িতে না থাকায় কথা বলতে পারিনি। রোববার সকালে মাদ্রাসায় আসলে মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং ঘটনার বিস্তারিত জানায়। হুজুরদের কাছে আমরা আমাদের সন্তানদের দ্বীনের শিক্ষা নিতে দেই, অথচ তিনিই এমন নির্লজ্জ কাজ করলেন!”
অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল মো. জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কাউকে ছোঁয়াও দিইনি।”
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জে. ও. এম. তৌফিক আজম বলেন,
“আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা জানান, প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পূর্বেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছিল, যা নানা উপায়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।